উত্তরায় এফ-৭ বিমান বিধ্বস্তের সময় বিমানটি চালাচ্ছিলেন একজন পাইলট.

বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম মারা গেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ফ্যাক্টচেক

এম আখতার মুকুল

7/21/20251 মিনিট পড়ুন

The Beauty of DU campus নামে একটি ফেসবুক পেজ গুজব ছড়িয়ে দাবি করে ( পোস্ট লিংক)

দুইজন পাইলটের একজন জী*বন দিয়েছেন।ইজেক্ট করেন নি তিনি।সম্ভবত সিভিলিয়ান দের বাচানোর শেষ চেষ্টা করতে গিয়ে আর বের হতে পারেন নি।

প্রকৃতপক্ষে এটি ছিল ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামের একক (সোলো) ফ্লাইট যা ছিল পাইলট হিসেবে তাঁর প্রথম একক উড্ডয়ন।আইএসপিআর ও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান আকস্মিক বিধ্বস্তের ঘটনায় একটি বিবৃতি দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর বা আইএসপিআর।

সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা ০১ টা ০৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। এ বিষয়ে তদন্তের পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

আইএসপিআর বলছে, দুর্ঘটনা মোকাবেলায় এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উক্ত বিমানের বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মোঃ তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাবার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজ এর দোতালা একটি ভবনে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে।এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় বৈমানিকসহ ১৯ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হয়েছেন।

উক্ত অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গভীরভাবে মর্মাহত এবং হতাহতদের সর্বাত্মক চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতায় তৎপর রয়েছে।সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব এবং ফায়ার সার্ভিস দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি উত্তরণের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে ।দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের জন্য ইতোমধ্যে বিমান বাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিবিসি আরো জানিয়েছে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম মারা গেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।এর আগে আজ দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমানটি উড্ডয়ন করে। বিধ্বস্ত হয় ১টা ১৮ মিনিটে। বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম মারা গেছেন। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ সায়েদুর রহমান জানিয়েছিলেন যে, তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।